আসুন দুঃখের কিছু বানী দেখেনিন

১৬হাজার কোটি টাকার ঘোটালার অভিযোগ রয়েছে রোজভ্যালীর বিরুদ্ধে ।রোজ ভ্যালি’ কর্তার দাবি

১৬হাজার কোটি টাকার ঘোটালার অভিযোগ রয়েছে রোজভ্যালীর বিরুদ্ধে ।রোজ ভ্যালি’ কর্তার দাবি
বর্তমানে চিটফান্ড আর টাকা ফেরত নিয়ে ধিরে ধিরে ভারতীয় কোটি কোটি জনসাধারণের মনে অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলেছে কেন্দ্র এবং সমস্ত রাজ্য সরকার আর রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি , এখন রাস্তা ঘাটে , ট্রামে বাসে একটাই প্রশ্ন এই চিটফান্ডের কান্ড কারখানা নিয়ে কে দ্বায়ী ? বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ বলছে ভারতীয় প্রশাসন আইন এবং রাজনীতির ষড়যন্ত্র ই দ্বায়ী । তবে ভারতীয় সাধারণ গরিব এজেন্ট গরিব মানুষ ভালো করে বুঝতে পারছেন, অনেক অর্থ লগ্নির মালিকেরা সমস্ত গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দিতে ইচ্ছুক কিন্তু ভারতীয় বিচার থেকে রাজনীতি সবাই ব্যাবসা নিয়ে ব্যস্ত । সাধারণ মানুষ রা কত আসা ভরসা নিয়ে নিজেদের ভালো ভাবে রাখতে এই সব নেতাদের ভোটে জিতিয়ে সংসদে পাঠায় এবং এরা শপথ নিয়ে কাজ করে তার ঠিক উল্টো ।
সাধারণ গরিবের টাকায় সমস্ত কিছু বিলাস ব্যসনে ভূলে যায় প্রতিশ্রুতি, দিনে দিনে বাড়তে থাকে ভয়ঙ্কর লোভ লালসা ।আর এই গরিব সাধারণ মানুষ দের জন্য একটাও কথা খরচ করেনা , শুধু ভোট এলেই গ্রামে গনজে নেতাদের গরিব দরদী অভিনয় শুরু হয়ে যায় । এ পর্যন্ত কয়েকশ এজেন্ট সাধারণ গরিব মানুষ টাকার জন্য আত্মঘাতী হলো , কেউ এক জন মন্ত্রী দিল্লির দরবারে প্রতিবাদ করেনি । আজ এতো বছর অর্থ লগ্নি সংস্থা গুলো মাইক, টিভি , সমস্ত সংবাদ মাধ্যমে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে টাকা তুললো ।ভারতীয় প্রসাশন দেখতে পেলো না। শুধুই কি সাধারণ গরিব মানুষ গুলো দেখতে পেয়েছিল ? তবে এটা বেশ ভালো বোঝা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের আস্থা ভারতীয় আইন কোর্ট এবং রাজনৈতিক নেতাদের উপর থেকে সরে যাচ্ছে ।যার তরে কোনও অঘটন ঘটলে থানায় কোর্টে না গিয়ে নিজেরাই মারামারি করে মরে , কারন তারা জানে ওখানে যাওয়া মানে জীবনের শেষ সঞ্চয় টুকু শেষ হয়ে পরিবারের সমস্ত সদস্যের জীবন টা কালী হয়ে যাবে , এইজন্য তো প্রতিটা জায়গায় পুলিশ মার খাচ্ছে , যেমন রোজভ্যালীর এজেন্ট মালিক বলছে আমরা সমস্ত টাকা ফেরত দিতে চাই গ্রাহক কে , কিন্তু দেশের প্রশাসন দিতে দিচ্ছে না , গ্রাহক বলছে অত শত বুঝি না টাকা আমার চাই চাই, শেষে সিরিয়া বা অন্য রাষ্ট্র গুলোর মতো টাকা না পাওয়া মানসিক বিকারগ্রস্ত, সর্ব হারা সাধারণ গরিব এজেন্ট গরিব মানুষরা গৃহ যুদ্ধের দিকে পৌঁছাবে না তো ?
রোজ ভ্যালি’ কর্তার দাবি অনুযায়ী, টাকা ফেরত দেওয়া কি আদৌ সম্ভব?
সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতে ‘রোজ ভ্যালি’র কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু দাবি করেন, ইডি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে আমানতকারীদের টাকা ফেরাত দিতে পারছেন না। বলেন, ‘‘আমাদের ১১ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। বাজারে দেনা রয়েছে তিন হাজার কোটি টাকার। তা মিটিয়ে দেওয়াই যায়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি আমাদের সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের প্রাপ্য মিটিয়ে দিক। তিন মাসের মধ্যে তা করতে হবে। না হলে আমি অনশনে বসে আত্মহত্যা করব।’’বলতে বলতে চশমা খুলে এক সহ-বন্দির হাতে ধরিয়ে দেন ওই ‘রোজ ভ্যালি’ কর্তা। শুরু করেন গরাদে মাথা ঠুকতে। সহ-বন্দিরা তাঁকে ঠেকান। তবে তত ক্ষণে কপাল ছড়ে রক্ত পড়তে শুরু করেছে। ঘটনার পরে গৌতমবাবুকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয় বলে পুলিশের দাবি।কিন্তু ‘রোজ ভ্যালি’ কর্তার দাবি অনুযায়ী, আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া কি আদৌ সম্ভব? ইডি-র বক্তব্য, ‘না’। তাদের যুক্তি, বেআইনি লগ্নির তদন্তে তারা নেমেছে ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, ২০০২’ (পিএমএলএ) অনুযায়ী। ওই আইনে কোথাও বলা নেই, যে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা ফেরত দেওয়া যাবে।5অভিজ্ঞ আইনজীবীরাও জানাচ্ছেন, ‘রোজ ভ্যালি’র আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে হলে সংসদে পিএমএলএ-র সংশোধন করতে হবে, যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাঁদের বক্তব্য, টাকা ফেরত দেওয়ার প্রশ্ন উঠবে আদালত মামলার রায় দেওয়ার পরে। অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণার পরে সুপ্রিম কোর্ট যদি হস্তক্ষেপ করে জনস্বার্থে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়, তখন তার ভিত্তিতে নিলাম করা যেতে পারে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি।
Back To Top